ই পাসপোর্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
ই পাসপোর্ট কি?
ই পাসপোর্ট হচ্ছে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে ই পাসপোর্ট চালু হয়েছে।
পুরনো পাসপোর্ট বা প্রচলিত পাসপোর্ট এর সাথে ই পাসপোর্ট এর পার্থক্য কি?
বাইরে থেকে কভারটি দেখলে প্রচলিত পাসপোর্ট আর ই পাসপোর্ট এর কোন পার্থক্য নেই। তবে এর ভেতরে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। যেমনঃ প্রচলিত পাসপোর্ট এর প্রথম দুই পাতায় যে তথ্যগুলো থাকে ই পাসপোর্ট এর প্রথম দুই পাতায় সে তথ্যগুলো থাকে না। এর পরিবর্তে সেখানে রয়েছে একটি কার্ড ও একটি এন্টেনা। এই কার্ডের ভেতরে থাকে একটি চিপ। যেখানে পাসপোর্টকারীর বা পাসপোর্ট বাহককারীর সকল তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে।
এই তথ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে
১। পাসপোর্ট ধারীর নাম।
২। পাসপোর্ট নম্বর।
৩। জন্ম তারিখ।
৪। তিন ধরনের ছবি।
৫। দশ আঙ্গুলের ছাপ এবং
৬। চোখের আইরিশ
এর মাধ্যমে অনলাইনে যে কোন দেশের অধিবাসন কর্তৃপক্ষ সহজেই ভ্রমণকারীর সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে বা যাচাই করতে পারেন এবং সেই সাথে মেশিন রিডেবল অপশনও রয়েছে যার ফলে ই গেট না থাকলেও যাতায়াতের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট ধারীর কোন সমস্যা হবে না। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা সেটি স্ক্যান করে কেন্দ্রীয় সার্ভারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এবং পাসপোর্ট সংক্রান্ত সকল কাজ করতে পারেন।
ই পাসপোর্ট ধারী ভ্রমণকারীরা কি কি সুবিধা পাবেন?
ই পাসপোর্টের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল দ্রুত এবং অল্প সময়ে ই গেট দিয়ে ভ্রমণকারী ইমিগ্রেশন শেষ করতে পারেন। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার এই বিরক্তিকর সময় গুলো আর আপনাকে পার করতে হচ্ছে না। ই গেটের নির্দিষ্ট একটি স্থানে পাসপোর্ট রাখার স্থান রয়েছে এখানে আপনার পাসপোর্টটি নিয়ম অনুযায়ী রাখলে ক্যামেরা ছবি তুলে নেয়। এখানে রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাইয়ের ব্যবস্থা। সবকিছু ঠিক থাকলে ই পাসপোর্ট ধারী ব্যক্তি ইমিগ্রেশন পেরিয়ে চলে যেতে পারবেন খুব সহজেই। এক্ষেত্রে কোন গরমিল থাকলে বা তথ্য ভুল থাকলে লাল বাতি জ্বলে উঠবে এবং সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বিষয়টি দেখবেন।